বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন

 বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান। আজকে আমরা বয়ঃসন্ধি কালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন কেন হয়

মানব জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল একজন ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কেননা এ সময়ে তাদের দেহের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকা একজন ছেলে এবং মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন 

বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন কেন হয় 

একজন ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রে জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সময় গুলোর মধ্যে এই বয়ঃসন্ধিকাল হল সবচাইতে দামি সময়। কেননা এই বয়সে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের যে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন গুলো দেখা যায় এই বিশেষ সময়ে তা পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

এ সময়ে যে সকল পরিবর্তনগুলো হয় তা খুবই লক্ষণীয়। কেননা এ সময়ের পরিবর্তনগুলো তার ভবিষ্যৎ জীবনের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। একজন ব্যক্তির লাইফ স্টাইল কিরকম হবে তার অধিকাংশ নির্ধারণ হয়ে যায় এ বয়ঃসন্ধিকালে। সুতরাং আপনি হয়তো খুব সহজেই বুঝতে পারছেন এই বয়সন্ধিকালের প্রয়োজনীয়তা কত। 

এই বয়সন্ধিকালে ছেলেময়েদের বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের বিকাশ ঘটে। তাছাড়া এ সময়ে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে অনেক ভাবেই উৎসাহ হয়ে পড়ে। তাই আপনাকে এ সময়ের গুরুত্বটা বুঝা খুবই প্রয়োজন। নিচে আমরা বয়ঃসন্ধিকালের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 

বয়সন্ধিকালের সময়কাল কখন 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে বয়সন্ধিকাল এর উপযুক্ত সময় টা কখন? বয়সন্ধিকাল এর সময় টাকে আমরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে থাকতে পারি। একজন শিশু জন্ম গ্রহনের পর থেকে শুরু করে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমরা সেই বয়সটাকে বলি শৈশবকাল। ৫-১১ বছর বয়সকে বলা হয় কৈশোর কাল । এবং এরপর থেকে যে বয়সটা শুরু হয় সেটি হল বয়সন্ধিকাল। 

বয়সন্ধিকাল সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৫ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১৩ বছর এর মধ্যে যে সময়কাল তাকেই মূলত বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়। এই বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের দেহে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। বয়সন্ধিকালে ছেলে মেয়েদের এসব পরিবর্তনের কারণ হলো হরমোন।

বয়সন্ধিকালে যে সকল পরিবর্তন একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের শরীরের মধ্যে প্রকাশ পায় তার মূল কারণ হলো হরমোন। এ সময়ে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরে তৈরিকৃত এক প্রকার গ্রন্থি রস নামক পদার্থ দেহে তৈরীর মাধ্যমে হরমোন সৃষ্টি হয়। যার মাধ্যমে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায়। 

বয়সন্ধিকালে ছেলেদের বিভিন্ন পরিবর্তন 

সাধারণত ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল দেখা যায় ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সে। এ সময়ে একজন ছেলে তার অতীতে ফেলে আসা শৈশব থেকে কৈশোর কালকে অতিক্রম করে বয়ঃসন্ধিকালে প্রবেশ করে। আর বয়সন্ধিকালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন একজন ছেলেকে বিভিন্নভাবে আকর্ষণ করে। নিচে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের যেসব পরিবর্তন হয় তা ব্যাখ্যা করা হলো ঃ 

  • বয়সন্ধিকালে ছেলেরা দ্রুত লম্বা হয় এবং দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় 
  • বয়সন্ধিকালে ছেলেদের বুক ফুলে উঠে এবং কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয় 
  • এ সময়ে মুখে দাড়ি গজাতে থাকে এবং যৌনাঙ্গের নিচে চুল গজাতে থাকে 
  • যৌনাঙ্গের অন্ডকোষ আস্তে আস্তে বড় হয় 
  • নিজেকে অন্যদের চাইতে অনেক বড় মনে হয় এবং নিজের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে বিবেচিত হয়। 
  • বয়সন্ধিকালে ছেলেরা সাধারণত একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে থাকে।
  • বয়সন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের ওপর আকর্ষণ ঘটে 
  • এ সময় নিজেকে সব সময় পরিপাটি রাখতে মন হয় যাতে করে সহজে অন্যের মন আকর্ষণ করা সম্ভব হয় 

বয়সন্ধিকালে মেয়েদের বিভিন্ন পরিবর্তন 

মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকাল তুলনামূলক ভাবে ছেলেদের আগেই শুরু হয়ে থাকে। মেয়েদের বয়সন্ধিকাল সাধারণত ৮ থেকে১৩ বছর বয়সে এই বয়সন্ধিকালটা লক্ষ্য করা যায়। এ সময়ে একজন মেয়ের অতীতে ফেলে আসা শিশুকাল থেকে শুরু করে কৈশরী কালকে পিছনে ফেলে এসে বয়সন্ধিকালে প্রবেশ করে। আর এ সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা মেয়েদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে থাকে। বয়সন্ধিকালে মেয়েদের দেহের যে সকল পরিবর্তন দেখা যায় তা হলো ঃ 

  • এ বয়সে মেয়েরা পর্যাপ্ত পরিমাণ লম্বা হয় এবং দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। 
  • এ বয়সে একজন মেয়ের স্তনের জায়গাটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। 
  • বয়সন্ধিকালে একজন মেয়ের হাতের নিচে বগলে এবং যৌনাঙ্গের উপরে চুল গজাতে থাকে।
  • এ সময়ে একজন মেয়ে সাধারণত পরিবার থেকে দূরে এবং একা থাকতে বেশি পছন্দ করে। 
  • বয়সন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। 
  • এ সময়ে একজন মেয়ে সর্বদাই নিজেকে পরিপাটি এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। 

বয়সন্ধিকালে শিক্ষকের অবদান 

বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং মেয়ের উপরোক্ত পরিবর্তনগুলো উপলব্ধি করতে শিক্ষকের অবদান অপরিসীম। বয়সন্ধিকালে শুরুর যে বয়সটা সেই বয়সটাই একজন শিক্ষক যদি তাদেরকে সে বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান দান করতে পারে তাহলে একজন ছেলে এবং মেয়েদের দুশ্চিন্তার কারণ অধিকাংশই কমে যাবে। 

তাছাড়া বয়সন্ধিকালে অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা লেখাপড়াই যুক্ত থাকে। এবং তাদের পাঠ্য বই এ বয়সন্ধিকাল সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিবর্তন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা থাকে যেগুলো করার মাধ্যমে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে তাদের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। 

অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষকেরা ছেলে মেয়েদের এইসব শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে ক্লাসে উন্মুক্তভাবে উপস্থাপনে ব্যর্থ হয় কিংবা লজ্জাবোধ করে এতে করে যে সমস্যাটি হয বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েরা শিক্ষকের সঠিক গাইডলাইন হতে দূরে সরে যায়। যেটি তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই বিষয়টি যদি শিক্ষকেরা ক্লাসে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে তাহলে এ সময়ের একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের দুশ্চিন্তা অধিকাংশে কমে আসবে। 

বয়সন্ধিকালে পিতা মাতার অবদান 

বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের সবচাইতে বড় বন্ধু হল তার পিতা এবং মাতা। কেননা একজন পিতা এবং একজন মাতা তারা খুব সহজেই তাদের এই বয়সন্ধিকাল টা উপলব্ধি করতে পারে। কেননা সকল পিতা-মাতা তাদের এই বয়ঃসন্ধিকালটা অতিক্রম করে এসেছে। এতে করে একজন পিতা এবং একজন মাতার তাদের ছেলেদের এসব পরিবর্তন সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। 

কিন্তু আমরা বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে এর উল্টো চিত্র দেখে থাকি। একজন ছেলে সহজেই তার বাবাকে বয়ঃসন্ধি কালের যেসব পরিবর্তন তার দেহে দেখা যাচ্ছে তা তার বাবাকে বলতে ইচ্ছুক নয়। অথবা অধিকাংশে বলতে গেলেও লজ্জা বোধ হয়। এ সময়ে একজন বাবার উচিত তার ছেলের এসব পরিবর্তনগুলোকে লক্ষ্য করা। এবং তার ছেলেকে সান্তনা প্রদান করা যে এ সময়ে এ সকল পরিবর্তন স্বাভাবিক এটি হবেই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সন্তানকে সুস্পস্ত ধারণা প্রদান করা। 

বয়সন্ধিকালে-পিতা-মাতার-অবদান

অনুরূপভাবে বয়ঃসন্ধিকালে একজন মেয়ে তার দেহের সকল পরিবর্তন তার মাতা কিংবা বড় বোনের সাথে শেয়ার করতে বিভিন্নভাবে লজ্জাবোধ করে থাকে। এ সময়ে একজন মায়ের উচিত তার সন্তানের এই বয়সটা ভালোভাবে লক্ষ্য করা। কেননা একজন ছেলের চাইতে একজন মেয়ে এই বয়সন্ধিকালে একটু বেশি লজ্জাবোধ করে। তাই বয়সন্ধিকালে একজন মেয়ের ক্ষেত্রে তার মায়ের অবদান অপরিসীম। মায়ের উচিত মেয়ের এসব পরিবর্তন স্বাভাবিক বলে তাকে সান্তনা প্রদান করা। 

এ বয়সে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে তার পরিবারের বিভিন্ন কথা এড়িয়ে চলতে থাকে। তে সহজেই পরিবারের কোনো কাজ করতে ইচ্ছুক নয়। সে ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে একটু সচেতন হতে হবে তাদেরকে রাগারাগি করে কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদেরকে সান্তনার সহিত সকল বিষয়ে  বুঝাতে হবে।

বয়সন্ধিকালে ছেলেদের করণীয় কাজ 

বয়সন্ধিকালে যেমন একজন ছেলের বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায় তার সাথে সাথেই দেখা যায় মানসিক পরিবর্তনের। এ সময়ে একজন ছেলে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। নতুন কিছু জানতে বিশেষভাবে আগ্রহী প্রকাশ করে থাকে। এবং সবচাইতে বড় সমস্যাটি হলো এ বয়সে একজন ছেলে তার যেকোনো সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করে। যদিও তার সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় তারপরও সেটি বাস্তবায়নে চেষ্টা করে । বয়সন্ধিকালের একজন ছেলের যা করণীয় 

  • যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। 
  • অন্যের মতামত কে বিশ্লেষণ করা 
  • পিতা মাতার এবং শিক্ষকের সাথে ভালো আচরণ করা।
  •  বয়সন্ধিকালে তার দেহের এসব পরিবর্তনকে মানিয়ে নিয়ে খারাপ পথে না যাওয়া।
  • এ বয়সে সর্বদা একা না থেকে সহপাঠীদের সাথে মিশা। এতে করে বিভিন্ন খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়।
  • বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ হওয়া স্বাভাবিক সেই বিষয়টি যথার্থ ভাবে গ্রহণ করা উচিত।

বয়সন্ধিকালে মেয়েদের করণীয় 

বয়সন্ধিকালে একজন মেয়ে তার দেহের এসব পরিবর্তন নিয়ে নানান চিন্তায় ভোগে। এর জন্য একজন মেয়ের করণীয় সর্বদা তাদের এ সকল পরিবর্তন তার মা কিংবা বড় বোনের সাথে শেয়ার করা। এ ছাড়াও বয়সন্ধিকালে একজন মেয়ের যেসব কাজ করণীয় তা হল 

  • সর্বদাই একা না থেকে পরিবারের সাথে মেশা।
  • অন্যের মতামত কে বিশ্লেষণ করা 
  • নিজের সকল মতকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা। 
  • বয়সন্ধিকালে একজন মেয়ে ছেলেদের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করে সতর্ক হওয়া। 

বয়সন্ধিকালে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন 

বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদেরকে উপযুক্ত মানের খাদ্য গ্রহণ করা। কেননা এই বয়সসে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সে দ্রুত লম্বা হতে থাকে এ কারণে তাদেরকে একটু বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়। আর এসব খাবারের তালিকায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্য থাকা খুবই প্রয়োজন। 

বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং মেয়ের খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিলে তাদের যে পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন ছিল সেটির ব্যাঘাত ঘটে। যার কারনে তাদেরকে উপযুক্ত মানের খাদ্য গ্রহণ  করা প্রয়োজন পরে। খাদ্যের অভাবেও এ সময়ে তাদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। তাই এ সময়ে উপযুক্ত মানের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা খুবই দরকার।

পুষ্টিকর খাদ্য গুলোর মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম ,দুধ এছাড়াও সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। এসব খাবার একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের বয়সন্ধিকালের বিভিন্ন পরিবর্তন এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। তাই বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত মানের খাদ্য গ্রহণ খুবই প্রয়োজন। 

বয়সন্ধিকালে বন্ধুদের অবদান

বয়সন্ধিকালে ছেলেদের যেমন বিভিন্ন প্রকার বন্ধু থাকে ঠিক তেমনি মেয়েদের রয়েছে বান্ধবী। এ সময়ে একজন ছেলের একটি বিশ্বস্ত বন্ধু থাকা খুবই প্রয়োজন অপরদিকে একজন মেয়ের বিশ্বস্ত বান্ধবী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে, বয়সন্ধিকালের তাদের এ পরিবর্তন বেশিরভাগ সময় তাদের বন্ধু এবং বান্ধবীর সাথে  শেয়ার করে থাকে।

তাই বয়সন্ধিকালে একজন ভালো বন্ধু পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কথাটি বলার একটি বড় কারণ হলো একজন ভালো বন্ধু পারে আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে। অপরদিকে বন্ধু যদি সঠিক না হয় এবং সেই বন্ধুই আপনার জীবনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই বন্ধু অথবা বান্ধবীর দ্বারা আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বয়সন্ধিকালে একজন উপযুক্ত বন্ধুর প্রয়োজন অপরিসীম। 

বয়সন্ধিকালে-বন্ধুদের-অবদান

একজন ভালো বন্ধু আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে। অপরদিকে বন্ধু যদি খারাপ হয় তাহলে সেই বন্ধু দ্বারা আপনি বিভিন্ন নেশা সহ নানান অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারেন। তাই আপনার উচিত এই বয়ঃসন্ধিকালে একজন ভালো এবং বিশ্বস্ত বন্ধু বানানো। এতে করে আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর এবং আলোকিত হয়ে উঠবে,

আমাদের শেষ কথা 

বয়সন্ধিকালে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের উপরিক্ত পরিবর্তন গুলো স্বাভাবিক। বয়সন্ধিকালে এ পরিবর্তনের কারণে কোন প্রকার অস্থির হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এটি এক পর্যায়ে সমাধান এবং সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। বয়সন্ধিকালে অবস্থানরত অবস্থায় পিতা-মাতা শিক্ষক কিংবা বন্ধুদের সাহায্য নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে লজ্জাবোধ করলে চলবে না। 

বয়সন্ধিকালের বয়সটা একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন প্রভাবিত হয়। বয়সন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে লেখা আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য যদি একটু উপকার হয় তাহলে পোস্টটি আপনার অন্যান্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আর নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এ সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ।আজ এ পর্যন্তই ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গুড লাইক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url